সাপের কামড় থেকে গ্ৰামবাসীদের বাঁচাতে সাপুড়েদের দ্বারস্থ নাদনঘাট পঞ্চায়েত

3rd August 2020 7:56 pm বর্ধমান
সাপের কামড় থেকে গ্ৰামবাসীদের বাঁচাতে সাপুড়েদের দ্বারস্থ নাদনঘাট পঞ্চায়েত


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কালনা ) :  একদিকে করোনা মহামারীর আতঙ্ক,আর অন্যদিকে বিষধর সাপের উপদ্রব।আর এই দুইয়ের মাঝে পড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট পন্চায়েতের দীর্ঘপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের জীবন।সাপের কামড়ে অকালে মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজনের।তাই শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় দেখতে না পেয়ে গ্রামের মানুষজনকে বাঁচাতে সাপুড়ের দ্বারস্থ হলেন স্থানীয় পন্চায়েত।
            স্থানীয়সূত্রে জানা যায় যে,গত একমাস ধরে নাদনঘাটের দীর্ঘ পাড়া গ্রামে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে একাধিক বিষধর সাপ।আর সেই সাপের দংশনে এই কয়েক দিনে এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।শুধু তাই নয় সাপের দংশনে আক্রান্তও হয়েছেন ১৮ জন।তারা প্রাণে বেঁচে গেলেও বেশ আতঙ্কে রয়েছেন তাদের পরিবার।গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য গ্রামের রাস্তায়, বাড়ীর ভেতর ঢুকে ছোবল মারছে সাপ । আর এই আতঙ্কে চলাফেরা করাও দায় হয়ে উঠেছে।এই কারণে রাতের ঘুমও উড়ে গেছে তাদের।সাপের ছোবল খেয়েও যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন সেই পিংকি খাতুন, অমিত গুপ্ত,লিলি বিবি,ফিরোজ মন্ডলরা বলেন মূলত চন্দ্রবোরা,গোখরো,ডোমনা চিতির মতো বিষধর সাপের উপদ্রব এর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তাদের।আর তাই গ্রামের মানুষকে বাঁচাতে স্থানীয় পন্চায়েতের উদ্যোগে সাপ ধরার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।আর এই কারণেই ডাক পড়ে পনেরোজন সাপুড়ের।তাই সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয় সাপ ধরার অপারেশন আর তা সফলও হয়।এই বিষয়ে নাদনঘাট পন্চায়েতের সদস্য কামালউদ্দিন সেখ বলেন,‘এই কয়েক দিনের দীর্ঘপাড়া গ্রামের মধ্যেই বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।সকলেই বেশ আতঙ্কে রয়েছেন।আর এই কারণে গ্রামের মানুষজনকে বাঁচাতে পন্চায়েতের উদ্যোগে সাপ ধরার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।মেমারী থেকে আসা সাপুড়েরা এইদিন গোখরো, চন্দ্রবোড়া,কালাচের মতো আটটি বিষধর সাপ ধরেন।এইগুলিকে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’যদিও ওই গ্রামের মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করতে বিজ্ঞান মন্চের অন্যতম সদস্য ও জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক তাপস কুমার কার্ফা বলেন,‘চলাফেরার জায়গা ও বাড়ির আশেপাশে থাকা আবর্জনা সহ ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলতে হবে।শুধু তাই নয়,ব্লিচিং পাউডার ছড়াতে হবে।জোরালো আলো জ্বালাতে হবে।কারণ সাপ আলোকে এড়িয়ে চলে।আলো জ্বালিয়ে ও মশারি টাঙ্গিয়ে শুতে হবে।যতটা সম্ভব পা ঢাকা জুতো পড়ে চললে ভালো হয়।’





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।